কোরবানির ঈদের দিনগুলোতে কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থেকে ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার এসব নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান।
পাউবো নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে ছাড়াও এসব নদ-নদীর উজানে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি কুড়িগ্রাম শহর (ধরলা সেতু) পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা অববাহিকায় ১০২ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং তিস্তা অববাহিকায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদীসমূহের পানি কিছু কিছু সময় দ্রুত বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে পাউবো। আগামী কয়েক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
আগামী কয়েক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রাম সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীতে জেগে ওঠা চরগুলো নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে।
সদরের হলোখানা ইউনিয়নের ধরলা তীরবর্তী বাসিন্দা আহমেদ বলেন, ‘শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে পানি খুব বাড়তি। দুই ফুটেরও বেশি বাড়ছে। কিছু চর ডুবতে শুরু করছে, তবে সেগুলোতে জনবসতি নেই।’
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা মিলন বলেন, ‘শুক্রবার সারা দিন পানি খুব বাড়ছিল। কিন্তু রাতে কমেছে। তবে আবার ভারী বৃষ্টি হয়েছে।’
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েক দিন উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এ সময় জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে। পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের নির্দেশনায় কুড়িগ্রামে প্রায় ৫ শতাধিক বন্যা কবলিত অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছে কুড়িগ্রাম...
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকায় পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই বোনসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।নিহতরা হলেন,উপজেলার কালীগঞ্জ ইউনিয়...
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ধরলা ও তিস্তায় ভাঙন ও বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার(৫জু...
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চলে নৌকাযোগে ঘড়িয়ালডাঙ্গ...
কুড়িগ্রামে ৯ দিন ব্যাপী সেবাইত প্রশিক্ষণ শুরু । ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সহায়তায় ধর্মীয় ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ...
কুড়িগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ২০২৪-২৫ইং সালের নির্বাচিত কমিটি...
আশ্বাস বাস্তবায়ন করলে ঈদযাত্রা যে ভোগান্তিহীন হতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ কুড়িগ্রামের রৌমারী-চিলমারী নৌঘাট। ঘরমুখো যাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও...
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার চাঁদনী বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্থাপ...