টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় মাদক বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ফারুক হোসাইনের (২০) বিরুদ্ধে।
রবিবার (৫ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর চাচা জানান, রবিবার ভোর রাতে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে কাঁচি (সিজার) দিয়ে তার ভাতিজির চোখে ঘা দিয়ে পালিয়ে যায় ফারুক। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ফারুককে খুঁজতে থাকে। অনেক খোঁজখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার ভাতিজিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় তাকে। সাত বছর আগে অভিযুক্ত মির্জাপুর উপজেলার বুসুন্দী গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসাইনের সাথে তার ভাতিজির বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ফারুকের বাবা বিদেশ থাকায় মা ও ছেলে মিলে মাদক ব্যবসা করতো তারা। পরবর্তীতে ফারুক তার স্ত্রীকে মাদক বিক্রি করতে বললে তাদের ভেতর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তার ভাতিজি বাবার বাড়ি চলে আসে। পরবর্তীতে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হয় তাকে। এরপরও স্ত্রীকে মাদক বিক্রি করতে বলতো ফারুক। এ কারণে একাধিকবার তাদের মধ্যে ঝগড়া ও সালিশ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, একবছর আগে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে এসে গাজীপুরের এক গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করেন তার ভাতিজি। সেখানে প্রায়ই তাকে ফোন করে চোখ উপড়ে ফেলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতো ফারুক।
গত রমজান মাসে ফারুক গাজীপুরে তার ভাতিজির বাসায় গিয়ে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে তাকে আহত করে। ওই ঘটনায় গাজীপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপরেও একাধিকবার নম্বর থেকে কল করে তার পরিবারের চার সদস্যকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতো ফারুক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার আনোয়ার হোসেন জানান, ফারুক হোসাইন মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, “কিছুক্ষণ আগে ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাটির তদন্তে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।” তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।