হুমায়ুন আহমেদঃ রাজবাড়ী জেলার সাংবাদিক তারেক ফকিরকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামি করা হয়েছে আরডিসি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এক সাংবাদিক কে। সাংবাদিক তারেক ফকির বলেন, ০৫-০২-২০২১ তারিখে মানিকগঞ্জ শহরে ব্যক্তিগত একটি কাজে গিয়েছিলাম। হঠাৎ একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোনটি ধরার পর পরিচয় জানতে চাইলে পি বি আই পুলিশ গৌরাঙ্গো জানান, তার নামে মামলা হয়েছে। তারেক আরো বলেন, মামলা হওয়ার পরে জানতে পারি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মামলাটি করা হয়েছে। যেহেতু বাদী ফাতেমা মেম্বার এখন প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠেছেন আর কিছু স্বার্থনেষী লোক স্বার্থ উদ্ধারের নেশায় তাকে ব্যবহার করছে এবং যারা আট জন সাক্ষাত কার দিয়েছে তাদের মধ্য থেকে মাত্র দুই তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। তার কথার ইঙ্গিতে জানতে পারি উপর মহলের কেউ তাকে দিয়ে এ কাজ করাচ্ছে। তারেক ফকির বলেন, আমি ছোট থেকে কোন অন্যায় সহ্য করতে পারি না। আমি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এম বি এ পড়ি। শখের বশে নয়, রাষ্ট্রীয় নিদের্শনা মেনে, পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করি, ( সাবেক প্রতিনিধি আরডিসি নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম) । আমি প্রতিটি নিউজেই দুই পক্ষের মতামত নিয়েই করি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পরও আমার নামে মামলা করা হয়েছে। মূলত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি নাকি তিনি তাদের সাথে আমার উপর ও প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ বিষয়ে সন্দেহ থেকে যায় আমার ।
মামলাটি করেছেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল (বাংলাদেশ) ঢাকা সুএ :পিটিশন মামলা নং- ২৯৩/২০২০
ধারা ডিজিটাল নিরাপওা আইন ২০১৮এর ২৪(১)এর ই(১)এর (ক)২৯(১),৩৫ মামলায় আসামি করা হয়েছে: মিজানুর রহমান মজনু (জেলা পরিষদের সদস্য) কালুখালী (উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক) রোকনুউজ্জামান রোকন মদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। মো:তারেক ফকির ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( এম. বি. এ)পড়ুয়া ছাত্র। *ফজলু মন্ডল *রবিউল ইসলাম খন্দকার *মোর্শেদা বেগম( মেম্বার) বাদী ফাতেমা বেগম। মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদ মদাপুর, সভাপতি মহিলা আওয়ামীলীগ ৪নং ওয়ার্ড মদাপুর ইউনিয়ন। মামলাটি তদন্ত চলছে পি বি আই পুলিশের হাতে মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিবে।
প্রসঙ্গত, গত ০৫-০৯-২০২০ তারিখে বাদী ফাতেমা বেগম মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদ মদাপুর ও তার মেয়ের অসামাজিক কার্যকালাপের ব্যপ্যারে
মো:আসাদুউজ্জামান তুরান (মেম্বার), মোর্শেদা বেগম (মেম্বার,) মো:তোফাজ্জেল হোসেন (মেম্বার), মো:আব্দুল লতিফ শেখ (মেম্বার), মো:নৃর ইসলাম বাবু (মেম্বার), মো:বিল্লাল খান (মেম্বার),মো:জিলাল মোল্লা (মেম্বার),মো:হাবিব খাঁ (মেম্বার) এদের ভিডিও সাক্ষাতকারের মাধ্যমে নিউজটি করা হয়। বাদী ফাতেমাকে কয়েক বার ফোনও দেওয়া হয়! কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে তার বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সরাসরি হুমকি সহ বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেন। খারাপ আচরণ করেন ও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে বাধ্য হয়ে ফিরে আসতে হয়। এই সব কিছুর মোটিভ আছে আমার কাছে। প্রকাশিত সংবাদের সব তথ্য উপাত্ত তার কাছে রয়েছে। রাজবাড়ী জেলার প্রতিনিধি তারেক বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই মামলাটি আইনগত ভাবেই মোকাবিলা করা হবে। এটাই আমার চাওয়া, আমাকে সর্বস্তরের সাংবাদিক ভায়েরা সাহায্য করবেন।