জকিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের পাঠানচক গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ খাঁনে’র সমাধী সৌধের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করলেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জকিগঞ্জ-সার্কেল সুদীপ্ত রায়। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন এবং শহীদ আব্দুল হামিদ খাঁনে’র উত্তরসূরীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুত্তালিব, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রাহমার মকু, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিরাজ উদ্দিন খাঁন, ইউনাইটেড এসোসিয়েশনের বন ও পরিবেশ সম্পাদক নুরুল হুদা, শিক্ষক নেতা মাস্টার লুৎফর রহমান খাঁন, আবুল কালাম আজাদ খাঁন, সৌদি প্রবাসী লুৎফর রহমান, সৌদি প্রবাসী আজিজুর রহমান খাঁন ইতালি প্রবাসী তোফায়েল আহমদ খাঁন, মিসবাহ উদ্দিন, আব্দুস সালাম প্রমূখ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জকিগঞ্জ-সার্কেল সুদীপ্ত রায় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ খাঁনে’র স্মৃতিসৌধে পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, সেদিন বুদ্ধিজীবীরা ,মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন বলেই পরাধীন দেশ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে পেরেছিল। এই সত্য শত্রুরা জানতো, তাই আত্মসমর্পণের আগে চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়েছে। এখন আমরাও যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান না দেই, তাহলে নিজেদের অকৃতজ্ঞ মনে হবে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরাধীনতার গ্লানি মুছে ফেলতে দেশপ্রেমিকদের সাহসী ও শক্তিশালী পদক্ষেপ যুদ্ধে অংশগ্রহণ। দীর্ঘ নয় মাসের সেই মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ বাঙালির জীবন ও দুই লাখ বাঙালি নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আজ প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের গর্ব। আর মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সর্বশ্রেষ্ঠ ইতিহাস। এই ইতিহাস নতুন করে স্থায়ী একটি রেখা আঁকে বিশ্বের মানচিত্রেও। ইতিহাস ঘিরে প্রাপ্ত বিশ্ব মানচিত্রে অঙ্কিত বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদেরই চিরকাল।