পারভেজ মিয়াঃ ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড়খারদিয়া গুচ্ছগ্রামে অগ্নিকান্ডে দুটি পরিবারের সহায়সম্বল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এক স্বামী পরিত্যক্ত নারী ০৪টি ছোট ছোট মেয়ে সন্তান নিয়া ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করে, ঠাই হয়েছিলো ওই গুচ্ছগ্রামে। কিন্তু আজ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সহায়সম্ভল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তেমনি আর একটি ভূমিহীন পরিবারের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কারের সরকারের দেওয়া ঘরের আসবাবপত্র ও ঘরের দুই একদিনের জমানো খাবারসহ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার ৬ই ফ্রেরুয়ারী দুপুর ০২টার দিকে ওই নারীর রান্না ঘরের আগুন লেগে দুটি পরিবারের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের টিম যেতে যেতে সব পুড়ে যায়, কিছুই রক্ষা করতে পারেনি তারা। গুচ্ছ গ্রামের অব্যবস্থাপনাকে দূষছেন সবাই ঘন বসতি ও অব্যবস্থাপনার কারনে আবাও এই দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেছেন অনেকেই। গুচ্ছ গ্রামের প্রতিবেশীরা জানান স্বামী পরিত্যক্ত এই নারীকে ২ থেকে ১০ বছর বয়সের ৪টি মেয়ে সন্তান রেখে স্বামী ফেলে রেখে অন্যত্র আর একটি বিয়ে করে সংসার পেতেছে। ৪টি সন্তান নিয়ে দশদোয়ারে ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করে এই নারী। স্থানীয়দের সহযোগীতায় গুচ্ছ গ্রামে মাথা গোজার ঠাই হয় তার। হঠাৎ শনিবার দুপুর ০২টার সময় রান্না ঘরে আগুন লেগে তার বেঁচে থাকার গোছানো আসবাবপত্র সহায়সম্ভল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ঐ স্বামী পরিত্যক্ত নারী রেনু বেগম মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি চুন্নু মোল্যা বলেন, এই গুচ্ছ গ্রামের ৪০টি ঘরের মধ্যে ওই নারী সবচেয়ে অসহায়, ঘরের সকল আসবাবপত্রসহ সব কিছু পুড়ে গেছে। অপর আর একটি ঘর আবু বক্কারেরও একই অবস্থা। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মুন্সী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করেছেন।