নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৮০ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনে। আজ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ১৫৫৫৫ টি যা গতদিনে ছিল ১৫৫৮৫ ।
আজ সোমবার ( ২২ জুন ২০২০) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৮৭টি আর পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫৫টি। শনাক্তের হার ২২.৩৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৫ জন। সুস্থতার হার ৪০.৩৮% এবং মৃত্যুর হার ১.৩০ শতাংশ।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ৩৩ জন ও নারী পাঁচজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন করে, বরিশাল বিভাগের চারজন এবং সিলেট বিভাগের একজন।
হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, বাড়িতে ১২ জন এবং হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৬১৮ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৩৪১ জনকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।
গতকাল রবিবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মোট ১৪৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৩১ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে। আজ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ১৫৫৮৫ টি যা গতদিনে ছিল ১৪০৩১ ।দেশজুড়ে ৬০টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বুলেটিনে বলা হয়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫ হাজার ৭১০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৫৮৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ছয় লাখ ১২ হাজার ১৬৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ১২ হাজার ৩০৬ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৪৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৪ জন। সব মিলিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন ৪৫ হাজার ৭৭ জন।
মৃত্যুর পর জানা গেল অধ্যাপক আনিসুজ্জামান করোনা আক্রান্ত ছিলেন
করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে। তবে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস ক্রমে গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। পৃথিবীর ২১৬ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ মরণ ভাইরাস।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও। এদিকে ক্রমেই আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মানুষের জীবিকার তাগিদে ৮ম দফায় ছুটি না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে অফিস-দোকানপাট ও সীমিত পরিসরে গণপরিবহন। তবে রেড জোন চিহ্নিত করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।