নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পৌর নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। জকিগঞ্জ পৌর শহরের অলিগলির সকল সড়কেই প্রচারণায় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানার। পৌর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পৌর এলাকা। তাকালেই চোখে পড়বে সারি সারি ঝোলানো পোস্টার। মাইকিং ছাড়াও চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে নির্বাচনী প্রচারণা। চায়ের স্টলগুলোতে চলছে চায়ের আড্ডা। বুঝতে বাকি নাই পৌর নির্বাচন খানিকটা জমে উঠেছে। করোনা আর শীতকে পেছনে ফেলে কোনো প্রার্থীই পিছিয়ে নেই প্রচার-প্রচারণায়।
এদিকে, ১৯ জানুয়ারী জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া দুইজনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমদ ও জকিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক মো. আব্দুল আহাদ। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান। তাদের বহিষ্কারাদেশের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ বরাবরে সুপারিশসহ পাঠিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা।
জকিগঞ্জ পৌরসভায় দলীয় মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন। জকিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পৌরসভার বর্তমান মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন (নৌকা)। বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী পৌর বিএনপির আহবায়ক সাবেক মেয়র ইকবাল আহমদ তাপাদার (ধানের শীষ)। জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হয়েছেন পৌর জাপার সভাপতি সাবেক মেয়র আব্দুল মালেক ফারুক (লাঙল)।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমদ (জগ), উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল আহাদ (নারিকেল গাছ), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন হীরা (চামচ), পৌর আল ইসলাহর সভাপতি হিফজুর রহমান (মোবাইল), সোনার বাংলা সমিতির সভাপতি জাফরুল ইসলাম (হ্যাঙ্গার)।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬হাজার ৩ জন এবং নারী ৬ হাজার ৩৪২ জন। ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন ও তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।