কুয়া কাটা আছে,
সুন্দর বন আছে,
আছে অপরুপ রুপসার খোলা বুকের সৌন্দর্য…..!
এত কিছু রেখে –
সেই তো তুমি,
গিয়েছ আঠার বাকীর তীরে
আমায় নাওনি সঙ্গে,
একটু হলেও কষ্ট পেলাম…
কষ্ট মনে –
আমার কষ্টে কি যায় – আসে?
মাঠের ওপাশে বৃষ্টি ধোঁয়া
কদম গন্ধ ভাসে শ্রাবণ বাতাসে –
তোমার সঙ্গে আছে মায়াপরী মেয়ে
মেঘের ঝিলিক দু’ চোখে !
আমি ও ছিলাম পাশে,
একটু ভিড় এড়িয়ে,
তুমি তো আর আমায় খোঁজনি –
মায়াপরী তোমায় আগলে রেখেছে –
আঠার বাকীর তীর ছুঁয়ে
এক শান্ত মনি নদী বেড়ে ওঠেছে –
এ নদীর একটা কাহানি আছে ।
শান্ত আর মনি নামে এক যুগল প্রেমিকদ্বয় –
এ নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে
আত্মহত্যা করেছে…
আমার চোখের জল এ নদীতে
শিশির হয়ে ঝরছে –।
এ জীবন এখন বন্ধনহীন,
সময় এখন শব্দহীন,
নদীটা কাঁদছে নীরব নিঃশব্দে,
নদীর ভাঙ্গন কাল,
আকাশ শুধু চেয়ে আছে —!
জীবন কি ঠিক এরকম?
নৈঃশব্দের অতলে সব কেমন তলিয়ে যায়…
বৈশাখে না হোক-
শ্রাবণে ডেকো,
স্বপ্নগুলো সাজিয়ে দেব এক এক করে –
বুকে বাজে ব্যাথার সুর অভিমানে –
আঠার বাকীর তীরে –
এক ঝাঁক লাল সারস এসে ভিড়েছে,
এ দৃশ্য অন্য পৃথিবীর প্রতিচ্ছায়া যেন —
আর তুমি –
কি ভীষণ মায়াপরীতে ব্যস্ত -।
আমি বড় বেশি ব্যথা বিলাসী –
কোন্ অরণ্য নীড়ে মন বেঁধেছ
আঠার বাকীর তীরে –
কাশবন অরণ্যে আমি মুগ্ধ হলেম
তোমায় ছেড়ে –
আর ওই যে –
লাল সারসের ঝাঁক
ওরা কি কেউ সঙ্গি বিহীন?
উড়ছে কেমন মিষ্টি রোদের আঁচে —
আমি আর তোমায় নিয়ে ভাবছি না তো,
এখন গাঢ় সবুজ রঙের শ্যাওলায় ভীষণ মুগ্ধ –
শ্যাওলার ঝোঁপে ফুল ফুটেছে –
বেগুনি ফুল হাওয়ায় দোলে –
তৃণের এক বেগুনি সমুদ্র —–!
তুমি এখন মায়াপরীতে গলতে পার
বৃষ্টির নরম ফোঁটার মতো
হঠাৎ আমার নীলাভ মন
ব্যথার বিষে চিন চিন করছে,
তোমার মনে অন্য ফুল ফুটেছে -।
এখন নদীটা বইছে কাশফুলের মতো –
সাদা জল বুকে নিয়ে,
এ জল যে শান্ত,মনি আর আমার কষ্ট ——-
এক নদীর তিন গল্প…
আমি ধীর গতি,
আজ ও আঠার বাকীর তীরে দাঁড়িয়ে…..