জকিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জকিগঞ্জে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে সুরমা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে বারহাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বালু উত্তোলনের কারণে নদী গভীরতার সৃষ্টি হয়ে তীরবর্তী বাড়ীঘর, ফসলি জমি ভাঙ্গন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক আশঙ্কা রয়েছে।
এ নিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
আরো পড়ুনঃ সিলেটের প্রবীণ শায়খুল হাদিস, মাহমুদ হোসাইনের দাফন সম্পন্ন
লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে সুরমা নদীর পার্শ্ববর্তী চক ও উত্তর খিলোগ্রামের বেশীরভাগ বাড়ীঘর ও ফসলীজমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের মূখে রয়েছে শাহগলী বাজারসহ আশপাশের জনবসতি ও স্থাপনা। সুরমা নদীর ওপারে কানাইঘাট উপজেলার কায়স্থগ্রাম রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ব্লক স্থাপন করে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। গুচ্ছ গ্রামের জন্য প্রশাসনকে অবহিত করার কথা বলে বারহাল ইউপি চেয়ারম্যান নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রির পায়তারা করছেন। নদীতে গভীরতার সৃষ্টি করে বালু উত্তোলনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া আগামী বর্ষা মৌসুমে দেখা দিতে পারে। ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় কৃষকদেরকে অসত্য তথ্য দিয়ে একদিনের নোটিশে ফসলী জমির কাঁচাপাকা ধান কাটতেও বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বালু উত্তোলন বন্ধের ব্যাপারে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে বারহালের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম চৌধুরী, আজিজুর রহমান, জুবের আহমদ, সাদেক আহমদ চৌধুরীসহ এলাকাবাসী বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে নদী তীরবর্তী বাড়ীঘর, ফসলি জমি ভাঙ্গন ও পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানুষের দু:খ দুর্দশার কথা চিন্তা না করে ব্যক্তি মুনাফার জন্য পরিবেশ নষ্ট করে জনগণের মুখের গ্রাস ও বসতবাড়ি ধ্বংসের লীলায় মেতে উঠেছেন চেয়ারম্যান মোস্তাক।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি কাজের স্বার্থে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিষয়টি পিআইও, ইউএনও’সহ সবাই অবগত’।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি কাউকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেননি। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।’