জকিগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের জকিগঞ্জে পাড়ার দোকানে নানান ধরনের ঔষধ ছড়িয়ে পড়ছে, ঔষধ বিক্রয়ের দৃষ্টিভঙ্গি দেখে বৈধতা নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে সচেতন মহলের লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানান, একটি প্লাস্টিকের সলার ব্যাগের ভিতর করে ঔষধ দিয়াশলাই, সিগারেট ও আকিজ বিঁড়ি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে বেড়াচ্ছে আকিজ বিড়ির কোম্পানির লোকেরা। তারা সচেতন মহলের চোখ ফাঁকি দিয়ে সবসময় চলতে চেষ্টা করে। তারা বলেন কোম্পানি কিছুদিন পর বিড়ি বিক্রয় বন্ধ করে দিবে ঔষধ বিক্রি করবে কোম্পানির প্রচারের স্বার্থে আমাদের উপর গ্রামগঞ্জ ও পাড়ার দোকানে ওষুধ বিক্রির নির্দেশ রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নবিদ্ধ হলে আর ঔষধ বিক্রি করবেনা বলে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে চলে যায় মাঠকর্মীরা। কিন্তু এখনো নিয়মিত তাদের ঔষধ বিক্রয়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়।
আরো পড়ুন: স্ত্রীর পাশে চিরনিদ্রায় সমাহিত ব্যারিস্টার রফিক-উল হক
জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুল্লাহ আল মেহেদী বলেন বিড়ি সিগারেটের সাথে ঔষধ বিক্রি কোন ভাবে ঠিক হয় না। রেজিস্টার ভুক্ত ফার্মেসিতে অনুমোদিত ওষুধগুলো বিক্রয় করা হয়। আদ্-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডে’র অনুমোদন থাকলে তারা ফার্মেসিতে বিক্রয় করবে। পাড়ার মুদি দোকানদাররা ঔষধ বিক্রয় করা কোনোভাবেই বৈধ নয়। ওষুধ তিনিই বিক্রি করতে পারবে যার ফার্মাসিস্ট ট্রেনিং আছে এবং যিনি ড্রাগ লাইসেন্স পেয়েছেন। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগতভাবে এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ।
এ সময় তাদের প্লাস্টিকের সলার ব্যাগের মধ্যে দেখা যায় সুপারি, আকিজ বিড়ি, দিয়াশলাই, আদ্-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিঃ ফিভা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধের কাবার।
এবিষয়ে স্থানীয় ডিলার দীপক নামের এক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোম্পানির নির্দেশ তাই আমার দোকানে ঔষধ বিক্রি করতে বাধ্য। আমাদের মাঠকর্মীদের বলে দিয়েছি যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে সেখানে ওষুধ বিক্রি না করতে।
স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী অল্প টাকার ঔষধ সেবনে বিপদে পড়তে পারে। এসব ঔষধ সেবন করা থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত।