মেঘ পাড় আর জল রং জমিনের শাড়ি পরে
নূপুর আর কাঁকনের রিনিঝিনি ছন্দ তুলে
সেই এলে তুমি বৃষ্টি মেয়ে …
শ্যামলিমার সবুজ প্রকৃতির দেহ পুস্প পল্লব
শুভ্র সতেজ অনুভূতির করিডোর সিক্ত করে তুলতে —
তোমার দুর্লভ দর্শন লাভে আমারও দেহ তনুমন শিরশির নব প্রলয় ছন্দে মেতেছে
তোমার স্পর্শে দোলা জেগেছে আমার অবয়বে।
মেঘ বালিকা,
আছি তোমার একান্ত কাছাকাছি নিগূঢ় বন্ধনে
তুমি মিশে আছ আমার আত্মায় থাকবে অনন্তকাল:
মধুচন্দ্রিমার স্বপ্নময় বৃষ্টি ঝরা বিকেলে
তোমার সাথে মিলেমিশে হব একাকার;
বৃষ্টি মেয়ে তুমি এসো …
দক্ষিণের খোলা জানালায় আমায় ছুঁয়ে দাও
দ্বিধাহীন চিত্তে ঝর তুমি বার মাস টিপটিপ ছন্দে —
একটুকু ছোঁয়া লাগে তোমার আমার প্রাণে ;
আমি মন থেকে চাই তুমি ছুঁয়ে থাক সারাবেলা আমাকে
যেমন ছুঁয়ে থাক তুমি…
মেঘ হয়ে নীল আকাশের বুক
অতঃপর বৃষ্টি হয়ে ঝরো ।
মেঘ বালিকা কাজল আঁকা নীলাক্ষি মেয়ে
তোমার সাথে হৃদ্যতা গড়বো বলে
অপেক্ষার প্রহর গুনছি গ্রীষ্মের আগমনের পূর্বে
দক্ষিণের মনের জানালা দিয়েছি খুলে ,
স্বপ্ন এঁকেছি দু’চোখে ।
তুমি আসবে মেঘের খোঁপায় কামিনী ফুলের মালা জড়িয়ে
বৃষ্টির ধারায় হাসনাহেনার গালিচা বিছিয়ে দিয়ে ,
সবুজ প্রকৃতি উচ্ছ্বাসে স্বপ্ন রাঙিয়ে
তোমার একটু স্পর্শ: সে তো শীতল সমুদ্র স্রোত হয়ে বেনো জলে স্বপ্ন বুনে গেলে আমার চেতনায়।
ভেজা বাতাসে বৃষ্টি মেয়ে তোমার শরীরি সৌন্দর্য আমাকে নিয়ে গেছে শ্রাবণ অঝোর ধারায়;
ইচ্ছে করে বৃষ্টি ভেজা ও মেঘ মেয়ে
দিগন্ত হীন স্বপ্নের ডানা মেলে উড়ে যায়
নীল আকাশের সীমানা ছাড়িয়ে………….