শাহজাহান আলী: বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নে পুত্রবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুড় মিলন মিয়া(৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার থানায় মামলা দায়েরের পরে রাতেই বিহার ইউনিয়নের উত্তর পাড়া নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় গৃহবধু অভিযোগ করেন,তার স্বামী পেশায় ট্রাকের হেলপার। দুই- তিন সপ্তাহ পর পর সে বাড়িতে আসতো। এই সুযোগে শ্বশুড় মিলন মিয়া প্রায়ই গভীর রাতেু তার ঘরে প্রবেশ করে শরীরের স্পর্শকাতর স্হানে হাত দিত। এসময় ওই গৃহবধু ঘুম থেকে জেগে উঠলে লন্পট শ্বশুড় পালিয়ে যেত।,এর পর লন্পট শ্বশুড় মিলম মিয়া ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। তার পুত্রবধু প্রতিরাতে দুধপান করতো। সেই সুযোগে একদিন মিলন মিয়া দুধের মধ্যে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পুত্রবধুকে খাওয়ায়। পুত্রবধু নিশার কারণে অচেতন হলে মিলন মিয়া তাকে ধর্ষণ করে। এর পর ঘুম ভাঙ্গলে পুত্রবধু বিষয়টি বুঝতে পারে। তার শ্বশুড়কে হাতে- নাতে ধরার জন্য গত ২৬ জুলাই রাতে ঘুমেরভান করে শুয়ে পড়ে এবং ভিডিও দৃশ্য রেকর্ড করার জন্য পাশেই মোবাইল ফোন রেখে দেয়।এর পর শ্বশুড় ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করলে পুরো দৃশ্য ভিডিওতে রেকর্ত হয়।বিষয়টি জানাজানি হলে স্হানীয় ভাবে সমজতার চেষ্টা চলে।পরে ৪ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় পুত্রবধু বাদী হয়ে লন্পট শ্বশুড় মিলনের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানার মামলা দায়ের করলে রাতেই লন্পট শ্বশুড় মিলন মিয়াকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
ঘটনার এতদিন পরে মামলার কারণ জানতে চাইলে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদিউজ্জামান জানান, লন্পট শ্বশুড় দীর্ঘ দিন ধরেই তার পুত্রবধুকে ধর্ষণ করে আসছিল।গৃহবধু বিষয়টি তার স্বামী, শ্বাশুড়ি এবং নিজের মাকে বলেছিল। কিম্ত তাতেও কোন কাজ হয়নি।এরপর ২৬ জুলাই সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে পরবর্তীতে গৃহবধু স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছেও বিচার দের কিন্ত তাতেও কোন কাজ হয়নি। বধ্য হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় নির্যাতিত ওই গৃহবধু থানায় এসে মামলা দায়ের করলে রাতেই লন্পট শ্বশুড় মিলন মিয়াকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।