নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ।
গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। রাতে করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।
পরদিন ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়। সফল অস্ত্রোপচার হলেও তার মাথার ভেতরে বেশ কিছু রক্ত জমাট বেধে ছিল। স্ট্রোকের পর থেকে গত ৮ দিন তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই ছিলেন।
এরই মধ্যে পরপর দুইবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তবে সঙ্কটাপন্ন অবস্থার কারণে মোহাম্মদ নাসিমকে দেশের বাইরে স্থানান্তরের ঝুঁকি নেয়নি তার পরিবারের সদস্যরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ আহমদ মজুমদার, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর, সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাজনা সুলতানা চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রভাত আলো পত্রিকার উপদেষ্টা মাজেদা রওশন শ্যামলী, বারঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা টিপু, জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ, সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল বাছিত তালুকদার, প্রভাত আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী সম্পাদক মেহেদী হেলাল প্রমূখ।
আলহাজ্ব হাফিজ আহমদ মজুমদার বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারাল। আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’
বিভিন্ন মহলের শোতবার্তায় মোহাম্মদ নাসিমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।