নিজস্ব প্রতিবেদক:: সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস (৪৮) গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি)। বিশেষ নিরাপত্তায় বর্তমানে তাকে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রদীপ কুমার আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশের গুলিতে সাবেক মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া যে হত্যার মামলা দায়ের করেছেন, তাতে দুই নম্বর আসামি প্রদীপ কুমার। টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন তিনি। এর আগে বুধাবার রাতে ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।এ ছাড়া গতকাল বুবধবার রাতে ওসি প্রদীপকে প্রত্যাহার করা হয়। এ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের মোট ২১ জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ। পুলিশের পক্ষ থেকে ওই সময় বলা হয়, রাশেদ সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। এর পর তিনি ‘পিস্তল বের করলে’ দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের কথাও জানায় পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও মামলা করা হয়েছে।
সিনহা ২০১৮ সালে সৈয়দপুর সেনানিবাসে থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় অবসরে যান। ৫১ বিএমএ লং কোর্সে অংশ নিয়ে সেনাবাহিনীতে কমিশন পেয়েছিলেন তিনি। অবসরে যাওয়ার পর থেকে সিনহা ভ্রমণ বিষয়ক একটি ডকুমেন্টারি বানানোর কাজ করছিলেন। ‘লেটস গো’ নামে ওই ডকুমেন্টারির কাজেই গত এক মাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। আরো তিন সঙ্গীসহ তারা উঠেছিলেন নীলিমা রিসোর্টে।